রাকিবুল হাছান, মনপুরা প্রতিনিধি: উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে মনপুরা ভারী বর্ষণ চলছে।পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ভারী বর্ষণ এর ফলে নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।নির্মাঞ্চলগুলোতে খাল-বিল-নদীর পানিতে থৈ থৈ করছে।

এদিকে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় শিশু, নারী, বয়স্করা। তবে অারো বেশি নাজুক অবস্থা রয়েছে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধহীন চর কলাতলী ঢাল চরের এলাকার লোকজন।

গত ৩দিনের টানা বর্ষণের কারণে প্রয়োজন হলেও মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অনাহারে দিন কাটছে পানি বন্দী এলাকার বাসিন্দাদের।সেই সাথে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য বিপাকে পরেছেন খামারিরা।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে মনপুরা ভারী বর্ষণে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়েছে।

শনিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সর্বত্র পানির নিচে রয়েছে। এতে মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে।তাছাড়া দক্ষিণ সাকুচিয়া রহমানপুর, হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন, দাসেরহাট, চরজ্ঞান ও সোনারচর, চর কলাতলি,চর নজরুলসহ অনেক গ্রামের বেড়িবাঁধের বাহিরে নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ এলাকাগুলোতে পানিবন্দি হয়েছেন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ।

ভারী বর্ষন এর প্রভাবে সরকার ঘোষিত জনশুমারি ও গৃহগননা ২০২২ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গননাকারীদের ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে।

গননাকারী আবিদ হোসেন রাজু জানান, ‘গত ৩ দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণের কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। কলাতলি অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ’গননা কাজে বাহির হতে পারছি না।তার পরেও সরকার ঘোষিত নিধারিত সময়ের মাঝে গননার কাজ শেষ করার জন্য আমরা ভারীবর্ষন উপেক্ষা করেও গননা কাজ করছি।

পানি বন্দী রুমা বেগম বলেন,নিচ থেকে নদীর পানি উপর থেকে বৃষ্টির পানি।এখন চারপাশ পানিতে তলিয়ে গেছে।স্বামীর কোন কাজ না থাকায় আজ রান্না করতে পারছিনা।এখন কি করবো ভেবে পারছি না।


এদিকে প্লাবিত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ রান্না করতে না পারায় অভুক্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার অনেকে।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান মুটফোনে জানান,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় স্ব স্ব এলাকার চেয়ারম্যানদের কে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে।